রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে, তা জানিয়েছেন চুমুক রেস্তোরাঁর মালিক আনোয়ারুল হক।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে জবানবন্দিতে তিনি বলেন, বেইলি রোডে চুমুক রেস্তোরাঁয় প্রথম আগুন লেগেছিল। এরপর সেখান থেকে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পরে।
পুলিশের তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ‘চুমুক নামের দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে দুই দোকানমালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। আগুন লাগার পর তাদের দোকানের কর্মীরা ফায়ার এক্সটিংগুইশার (আগুন নেভানোর সরঞ্জাম) ব্যবহার করে নেভানোর চেষ্টা করেন।
এদিকে, থানা-পুলিশ থেকে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে ঘটনার দিন রাতেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের ওই ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাকার রমনা থানায় শনিবার (২ মার্চ) হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ভবনটির ব্যবস্থাপক মুন্সি হামিমুল আলমসহ চারজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
একুশে সংবাদ/স.ল.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :