রমজানের প্রথম দশক রহমতের চতুর্থ রোজা আজ। পবিত্র জুমা পড়েছে বরকতময় এদিনে।
শুক্রবার রমজানের প্রথম জুমায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে মুসল্লির ঢল নেমেছে। হাজার হাজার মুসল্লির উপস্থিতিতে সম্ভবত দেশের মধ্যে সবচাইতে বড় জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বায়তুল মোকাররমে।
নামাজ শেষে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, বিশেষ করে বায়তুল মোকাদ্দস ইহুদি নাসাদের কবল থেকে মুক্তকরাসহ দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়েছে।
মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা রুহুল আমীন।
রমজান মাসের প্রথম জুমাকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদে দুপুর ১২টার মধ্যেই রাজধানীর দূর দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা এসে কাতারবন্দি হয়ে যান। বৃদ্ধ বাবার হাত ধরে শিশেু কিশোররাও আসেন বায়তুল মোকাররমে। নামাজের আগেই মুসল্লি বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে বাইরে কানায় পুর্ণ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে মুসল্লির উপস্থিতি জাতীয় মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ গেট, ছাড়িয়ে সিড়ি ও সিড়ির বাইরে, রাস্তায় পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। পরে জায়গা না পেয়ে যে যেখানে পেরেছে নামাজ আদায় করেছেন।
নামাজ আদায় শেষে একজন মুসল্লি জানান, পবিত্র রমজান মাসের জুমার নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। আর বায়তুল মোকাররমে সবচাইতে বড় জামাত হয়। রমজানে রোজা রেখে জুমার নামাজে এতবড় জামাতে শামিল হতে পারা নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
বংশাল থেকে আসা আমির হোসন নামের এক মুসল্লি বলেন, আজকে বেশি সওয়াবের আশায় বায়তুল মোকাররমে জুমা পড়তে এসেছি। নিজের জন্য দোয়া করেছি। মন ভরে মা বাবাসহ সকলের জন্য দোয়া করেছি। আল্লাহ যেন আমাদের ক্ষমা করে দেন। আমাদের রোজা, নামাজ, এবাদত বন্দেগি কবুল করেন। দেশ ও জাতিকে হেফাজত করেন।
প্রথম জুমাকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম ও আশেপাশে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :