চিকিৎসা সেবা সাধারণ মানুষের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সেবা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউ -এর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন সেন্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে `শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা পুষ্টি ও খাদ্য` সম্পর্কে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
স্মৃতিচারণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মার্চ মাসে আমরা থাকতাম ইস্কাটনে। তখন হাতিরপুলে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লুঙ্গি পরে নিচে আসতেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি তারা জানি তার দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল। তিনি সবচেয়ে বেশি চিন্তা করতেন সেটি হলো সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া নিয়ে। তিনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সেই সময়ে কয়েকবারই গিয়েছিলেন। তখন ডাক্তার নার্সদের উদ্দেশে বলতেন, ‘তোমরা হচ্ছো ডাক্তার, নার্স। তোমরা যদি সময়মতো আসো, সময়মতো সেবাদান করো তাহলে আমি সন্তুষ্ট। আমি বুঝবো আমার সারাজীবনের কষ্ট আর দেশ স্বাধীন করা সার্থক’।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা না থাকলে আজকে আমি থাকতাম না। আজকে মন্ত্রী হতে পেরেছি, আপনারা যারা আমার সামনে এসেছেন তারা আসতে পারতেন না। আমি চাই এখানে যারা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় জড়িত আছেন তারা এখান থেকে গিয়ে দ্রুত কাজে ফিরে যাবেন। তাই সময়ের মাঝেই শেষ করব।
এ সময় আগত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আজকে তাই আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করি। স্বাস্থ্যসেবাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাই, যাতে সারাবিশ্বের মানুষ তালি মারে। তারা যাতে বলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমি এবং প্রতিমন্ত্রীর একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আর এটার সবচেয়ে বড় কারিগর আপনারা।
মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এই হলেই আমাদের স্বাস্থ্যখাতের সব কনফারেন্স হবে। এখানে নাহলে কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে আমরা যাব না। এই প্রতিষ্ঠানকে আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যাই। এখানেই আমাদের আগামী পাঁচ বছরের যত অনুষ্ঠান আছে সবই করব।
বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা যেন বিশ্বমানের হয় সে লক্ষ্যে কাজ করতে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত সকল কর্মীদের প্রতি আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল বাশার মোঃ খুরশিদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ টিটো মিয়া,বিএসএমএমইউ- এর উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও বিএসএমএমইউ-এর নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বক্তব্য রাখেন।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :