দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বজ্র ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে দেয়া আবহাওয়ার ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- আজ মঙ্গলবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামীকাল বুধবার সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে পরশু দিন বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে- এ দিন ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুঙ্ক থাকতে পারে। এ দিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। বয়ে যাচ্ছে দমকা বাতাস। হয়েছে শিলাবৃষ্টিও। এতে আবহাওয়া কিছুটা শীতল। এখন বোরো ফসল মাঠে। আমগাছে মুকুল থেকে গুঁটি হওয়া শুরু হয়েছে। এসবের জন্য এই বৃষ্টি ইতিবাচক বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ সময়ে ঝড় হওয়া স্বাভাবিক। মাসজুড়ে মাঝে মাঝে ঝড়-বৃষ্টি হবে। এতে তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় থাকবে। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, এ সময়ে বৃষ্টি হয় পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে। পশ্চিমা বাতাসের সঙ্গে থাকে শুকনো এবং ঠান্ডা হাওয়া। এর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া দক্ষিণের গরম হাওয়া মিলে মেঘের সৃষ্টি হয়। এতেই বৃষ্টি হয়।
চলতি মাসে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা কম থাকলেও এপ্রিলে তাপপ্রবাহ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বজলুর রশীদ। তিনি বলেন, আগামী মাসের শুরুর দিকে তাপপ্রবাহ হতে পারে। তবে তা তীব্র না-ও হতে পারে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :