রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে নিহত ৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে এসব লাশ হস্তান্তর করা হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সদরঘাটে লঞ্চ টার্মিনালে লঞ্চের ধাক্কায় ছিঁড়ে আসা রশির আঘাতে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা যান মো. বেলাল (৩০)। এ ঘটনায় মারা যান মোট ৫ জন।
সদরঘাটের ১১ নম্বর পল্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, স্ত্রী মুক্তা (২৪) ও চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশাকে নিয়ে গাজীপুরে বসবাস করতেন মো. বেলাল। ভিড় এড়াতে ঈদের দিন সপরিবারে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়ি রওনা দেন এই গার্মেন্টসকর্মী। রাজধানীর সদরঘাট থেকে লঞ্চেও উঠতে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু লঞ্চযাত্রার আগমূহুর্তে স্ত্রী ও মেয়েসহ মারা যান বেলাল।
নিহত বাকি দুইজন হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামক দুটি লঞ্চ দড়ি দিয়ে পল্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুই লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ভেড়ানোর সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে যায়। তখন সেটি গিয়ে পল্টুনে আঘাত করে। এতে পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে নিহত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সদরঘাটের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
নৌ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, তাসরিফ-৪ নামে একটি লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে এর ধাক্কায় পাঁচজন মারা গেছেন।
এদিকে, ৫ জন নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ ঘটনায় দুই লঞ্চের চালক এবং ম্যানেজারসহ পাঁচজনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। আটকৃতরা হলেন- ফারহান লঞ্চের দুই চালক ও ম্যানেজার এবং এমভি তাসরিফের দুই চালক। পাশাপাশি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগ) রফিকুল ইসলামকে।
একুশে সংবাদ/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :