ঢাকার সদরঘাটে তিন লঞ্চের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) পাঁচজনকে আসামি করে এ মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই পাঁচজনকে আটক করে নৌপুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে নিচে পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে একটি শিশু ও এক নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
নৌপুলিশের সদরঘাট থানার ডিউটি অফিসার এসআই নকিব জানান, লঞ্চ ফারহানের দুই চালক ও ম্যানেজার এবং এমভি তাসরিফের দুই চালককে আসামি করে শুক্রবার সকালে মামলা করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন– আব্দুর রউফ হাওলাদার, সেলিম হাওলাদার, ফারুক খান, মিজানুর রহমান ও মনিরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার রাতে এমভি ফারহান-৬ ও এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চ দুটির রুট পারমিট ও সময়সূচি স্থগিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির নমিনির কাছে দাফন বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ লঞ্চ দুটি রশি দিয়ে সদরঘাটের পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামে আরেকটি লঞ্চ ঢুকে পড়ে। এ সময় ওই লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুনে বেঁধে রাখা এমভি তাসরিফ-৪-এর দড়ি ছিঁড়ে আঘাতে যাত্রীরা মারা যান।
একুশে সংবাদ/ বা.ট্রি/এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :