চলতি বছরের ৪ মে থেকে ‘দূরত্বভিত্তিক রেয়াত’ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ফলে ট্রেনে বেশি পথ গেলে গুণতে হবে বাড়তি ভাড়া। বাংলাদেশ রেলওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে রেলওয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে নতুন করে ভাড়া না বাড়িয়ে শুধু দূরত্বভিত্তিক যে রেয়াত (ছাড়) দেওয়া ছিল তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।
রেল কর্মকর্তারা বলছেন, রেয়াত মওকুফে কিছুটা হলে লোকসানের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারবে রেলওয়ে।
এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তখন রেলের যাত্রী ও মালামাল পরিবহন হতো সক্ষমতার তুলনায় কম। যাত্রী ও মালামাল পরিবহন আকৃষ্ট করতে ওই সময় দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াত সুবিধা চালু করা হয়। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।
এখন ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য রেয়াতের হার ২০ শতাংশ। আর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের জন্য রেয়াতের হার ২৫ শতাংশ। রেয়াত প্রত্যাহার হলে ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া বাড়বে ২০ শতাংশ এবং ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের জন্য ভাড়া বাড়বে ২৫ শতাংশ।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :