যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে দূরত্ব ভিত্তিক যে রেয়াত (ছাড়) দেয়া ছিল, তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশে রেলওয়ে। তবে নতুন করে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজবাড়ী শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশী রেলওয়ে মাঠে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ট্রেনে কোন ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না। আমরা ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের উপরে যে ভর্তুকি দিতাম, এটা প্রত্যাহার করেছি। গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে ট্রেনে কোন ভাড়া বাড়েনি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার অর্থে বলেছেন, এই মুহূর্তে জনগণের ওপর চাপ দেয়া যাবে না। তাই আমরা ভাড়া বাড়ানোর কোন চেষ্টাও করছি না। ভর্তুকি প্রত্যাহারের জন্য যতটুকু ভাড়া বাড়বে, সেটুকু তো মেনে নিতেই হবে। এই সিদ্ধান্ত ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।
এ সময় রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, জেলা পুলিশ সুপার জি. এম. আবুল কালাম আজাদ (পিপিএম), রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি কাজী ইরাদত আলী, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রেলওয়ের রেয়াতি ব্যবস্থায় ট্রেনের ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী ১৫০ কিলোমিটার ২০ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়। অর্থাৎ ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটারে পাওয়া যায় ২০ শতাংশ ছাড়। এরপর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং ৪০১ থেকে তদূর্ধ্ব কিলোমিটার পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়।
৪ মে থেকে এ সুবিধা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এতে সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়বে ১০ শতাংশ। তবে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া অপরিবর্তিত থাকবে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :