টানা চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার ছাড়াও মিশনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদেও পেশাদার কূটনীতিকদের দায়িত্বে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করা তিন পেশাদার কূটনীতিককে সৌদি আরবের জেদ্দায়, ভারতের কলকাতায় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় নতুন দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবিরকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ কনস্যুলেট জেদ্দায় কনসাল জেনারেল হিসেবে পাঠানো হচ্ছে।
এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুরকে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে উপ হাইকমিশনার করে পাঠানো হচ্ছে। আর মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীনকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় কনসাল জেনারেল হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বর্তমানে ওয়াশিংটন এবং ব্রাসেলসে দায়িত্ব পালনরত দুই কূটনীতিকের স্টেশন পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ওয়াশিংটনে মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) হিসেবে দায়িত্বরত মো. রাশেদুজ্জামানকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশ মিশনে কনসাল জেনারেল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর ব্রাসেলসের বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার পলিটিক্যাল এবং মিশন উপপ্রধান প্রীতি রহমানকে দিল্লির বাংলাদেশ মিশনে উপ-হাইকমিশনার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা প্রবাস লামারংকে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সেলর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ আল আলামুল ইমামকে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসের বাংলাদেশ মিশনে কাউন্সেলর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া পিএমওতে দায়িত্ব পালন করা মোহাম্মদ নাজমুল হককে জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, নিউইয়র্কে কাউন্সেলর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিষয়টা এমন নয় যে হঠাৎ করে এ ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এটা একটা রুটিন কাজ। কূটনীতিকরা একেক সময়ে একেক স্টেশনে কাজ করতে হয়। কেউ মিশনে যাবেন, আবার মিশন থেকে কেউ সদর দপ্তরে ফিরবেন বা বা এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনে যাবেন; এটাই রীতি।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :