সোমালি জলদুস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ দুবাইয়ের মিনা সাকার বন্দর থেকে আগামী ১ মে ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রামের পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে মিনা সাকার বন্দরে চুনাপাথর বোঝাইয়ের কাজ চলছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) জাহাজে থাকা নাবিকরা জানান, ২৭ এপ্রিল রাতে এমভি আব্দুল্লাহ মিনা সাকার বন্দরে নোঙর করে। সেখানে পণ্য বোঝাইয়ের কাজ চলছে। কাল মধ্য রাত বা পরের দিন জাহাজটি পণ্য নিয়ে ফুজাইরা বন্দরে যাবে। সেখান থেকে জ্বালানী সংগ্রহ শেষে সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ মে ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রামের পথে রওনা করবে এমভি আবদুল্লাহ।
জাহাজের সূচি অনুযায়ী সব কিছু অনুকূলে থাকলে আগামী ১১ মে কুতুবদিয়া ও ১২ মে চট্টগ্রাম বন্দরে এমভি আবদুল্লাহ নোঙর করতে পারে বলে জানিয়েছে নাবিকরা।
জাহাজ মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং এর প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম জানান, শনিবার দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস শেষ হয়। এরপর জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫ টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায়) হামরিয়া বন্দর ত্যাগ করে।
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার আট দিন পর গত ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরে এসে পৌঁছে এমভি আব্দুল্লাহ। এরপর ওই বন্দরে জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করা হয়।
উল্লেখ্য, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে এমভি আব্দুল্লাহ। এরপর জাহাজটি ছিনতাই করে জলদস্যুরা ১৪ মার্চ দুপুর ২টার দিকে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায়। সোমালিয়ান উপকূলে দীর্ঘ ৩১ দিন জিম্মি থাকার পর ১৩ এপ্রিল মুক্ত হন নাবিকরা। ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ থেকে নেমে যায়। এরপর মুক্ত হন ২৩ নাবিক।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :