দেশজুড়ে যখন দাবদাহ, তখন দেশের বেশকিছু জেলায় নেমেছে প্রশান্তির বৃষ্টি। ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রার মধ্যে এ বৃষ্টি যেন স্বস্তি এনেছে জনমনে। সবাই প্রার্থনা করছেন, সামনে বৃষ্টির প্রবণতা বেড়ে চলমান তাপপ্রবাহ যেন কিছুটা কমে।
গত দু-এক দিন ধরেই আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে দেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি হবে। তাদের পূর্বাভাস বিফলে যায়নি। সকালেই চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, ফেনী ও নোয়াখালীতে বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভোর থেকেই নোয়াখালীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর তা মাঝারি আকার ধারণ করে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
একইভাবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ মিনিট। সামান্য এ বৃষ্টির দেখা পেয়েও জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সামনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা স্থানীয়দের।
আবহাওয়া অফিসও জানায়, বৃষ্টিপাতের এ ধারা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এরপর আবার তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এছাড়া, সকালে বান্দরবানে থেমে থেমে বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাদ যায়নি বন্দরনগরী চট্টগ্রামও। সেখানেও ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এতে তীব্র দাবদাহ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলেছে নগরবাসীর। প্রশান্তি নেমে এসেছে তাদের মধ্যে।
এদিকে, চট্টগ্রামের পাশ্ববর্তী জেলা ফেনীতেও এ প্রতিবেদন লেখার সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ সারাদিন আকাশ মেঘলাসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সকালে সর্বোচ্চ ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার জেলা শহরেও সকালে বৃষ্টি হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :