সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মতো ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষে কোনো কারণে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা না গেলে প্রশাসক বসানোর সুযোগ তৈরি করতে আইন সংশোধন হচ্ছে।
এজন্য ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল–২০২৪’ রোববার ৫ মে জাতীয় সংসদে তুলেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিলটি পাস হলে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদের নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। প্রশাসক বসানোর সুযোগ রেখে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন সংশোধনের এই প্রস্তাব গত বছরের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।
বিলটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে প্রশাসক নিয়োগ হবেন কেবল একবারের জন্য এবং ১২০ দিনের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কোন দৈব দুর্বিপাকের কারণে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার ওই মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়াতে পারবে। অতিমারী, মহামারী ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার এই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
কোনো চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
এতদিন গেজেট জারির ৩০ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যভার গ্রহণ করতে হতো। এখন থেকে শপথের পরে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম সভা করতে হবে বলে সংশোধিত আইনের খসড়ায় প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ভাতা পান। কিন্তু তারা যখন দায়িত্বে থাকেন না তখন ভাতা পাবেন কি না আইনে তা স্পষ্টভাবে বলা ছিল না। খসড়ায় বলা হয়েছে, যখন তারা দায়িত্বে থাকবেন না, তখন ভাতা পাবেন না।
একুশে সংবাদ/বি.নি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :