গত সোমবার থেকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৭০ গ্রাম বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা-বাড়িতে প্রাত্যহিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ে নিয়মিত কাজ-কর্মে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের কাহিল অবস্থা। নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে ইফিআর টিকাসহ হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিজে রাখার ঔষধ। টানা তিন দিন বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজের রাখা মাছ-মাংস ও খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে গেছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। অনেকের মুঠোফোনে চার্জ না থাকায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৬ মে সোমবার বিকেলে কাল বৈশাখী ঝড়ে গাছ পড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে যায়। এরপর থেকে পুরো রাঙ্গুনিয়া বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকের বাড়িতে এপিএস থাকলেও নির্দিষ্ট ক্ষমতা অনুযায়ী এখন বন্ধ হয়ে যায় ফলে মোমবাতি ও চেরাগ ব্যবহার করতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট রাতে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলেও বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। ঘরে ঘরে ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যবহার ও খাবার পানি সংকটে অনেকেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট বলে বুঝানো যাবে না। অথচ, কখন বিদ্যুৎ আসবে বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।
পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক সাথে একাধিক স্থানে বিদ্যুতের খু্ঁটি ভেঙ্গে পড়া ও তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে পর্যায়ক্রমে কাজ করতে হচ্ছে। তাছাড়া লোকবলও কম। ঝড়ো হাওয়ার পর থেকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে একই সবকটি ইউনিয়নে কাজ করে যাচ্ছি।
রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সহকারী উপ-ব্যস্থাপক খালিদ মাসুদ মজুমদার বলেন, বিদ্যুতের লাইনের ওপর গাছ পড়ার কারণে সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গাছ সরিয়ে সরবরাহ লাইন চালু করতে সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার সরওয়ার জাহান বলেন, ‘অনেক এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে মাটি ছুঁয়েছে। অনেক জায়গায় খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। লোকজন কম থাকায় কাজ করতে সময় লাগছে। স্বাভাবিক কখন হবে বলা যাচ্ছে না। তবে লোকজন মাঠে রয়েছে।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :