কোরবানির ঈদের আগেই তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের মে মাসের পূর্ণাঙ্গ বেতন ও উৎসব ভাতা পরিশোধ করতে হবে। সুযোগ হলে জুন মাসের বেতনও পরিশোধের তাগিদ দিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী। একই সঙ্গে ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই বা কারখানাগুলো লে-অফ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৫ মে) শ্রম ভবনে ১৮তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের ঈদের ছুটি যাতে দীর্ঘ ও স্বস্তিদায়ক হয়, এ বিষয়ে মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঈদকে সামনে রেখে পোশাক খাতে কোনো শ্রমিক অসন্তোষ হবে না। পোশাক শ্রমিকদের জন্য কী পদ্ধতিতে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে সে ব্যাপারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সভায় মূল্যস্ফীতির চাপে কষ্টে থাকা শ্রমিকদের জন্য টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের দাবি তুলে শ্রমিক পক্ষ। বলা হয়, যা বেতন দেয়া হয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় ভর্তুকি দামে শ্রমিকদের টিসিবির পণ্য দেয়ার দিকটি বিবেচনা করবে সরকার।
এছাড়া, শতভাগ কারখানায় ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নেও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে তাগিদ দেয়া হয়। তখন মালিক পক্ষ পোশাকের বাড়তি দাম না পাওয়ার দিকটি সামনে আনে।
এ সভায় অংশ নেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্রম অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. আবদুর রহিম খান, বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. নূর কুতুব আলাম মান্নান, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার এবং জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের নেতা সিরাজুল ইসলাম রনিসহ অনেকে।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :