বৈশ্বিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সূচকে দুই ধাপ উন্নতি হলো বাংলাদেশের। আর্টিকেল নাইনটিনের বৈশ্বিক মত প্রকাশ রিপোর্ট ২০২৪-এ বাংলাদেশের এই অবস্থান উঠে এসেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে দশ বছরে বাংলাদেশের স্কোর কমেছে আট পয়েন্ট। আর দুই যুগে কমেছে ৩২ পয়েন্ট। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের নিচে আছে শুধু আফগানিস্তান।
২০১৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বৈশ্বিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করে আসছে আর্টিকেল নাইনটিন। এ বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান উঠেছে ১২৮ এ। গত বছর তা ছিলো ১৩০ -এ। ধর্ম পালনের স্বাধীনতা, নারী পুরুষের আলোচনার স্বাধীনতা, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হওয়া ও নাগরিক অংশগ্রহণ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের খানিকটা উন্নতি হয়েছে।
কিন্তু ২০১৮ সাল থেকেই বাংলাদেশের স্কোর আটকে আছে ১১ ও ১২-র ঘরে। সামাজিক যোগাযোগে সেন্সর শিপ, নাগরিক সংগঠনের উপর নিপীড়ন, মানহানি মামলায় হয়রানি, রাজনৈতিক হত্যা, সমাবেশ করার স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা; এমন ২৫টি সূচকের সবগুলোতেই বাংলাদেশের স্কোর ঋণাত্মক।
আর্টিকেল নাইনটিনের রিজিওনাল ডিরেক্টর শেখ মনজুর-ই-আলম বলেন, মতপ্রকাশের ২৫টি সূচকের মধ্যে আটটি ডিজিটাল অধিকার বিষয়ে। সবগুলো ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের স্কোর সম্পূর্ণ ঋণাত্বক।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমাদের এই রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করার সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান বলেন, স্কোর দিয়ে অনেক সময় ভয়াবহতা বোঝা যায় না।
সংস্থাটি বলছে, সার্বিক বিচারে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকট জনক অবস্থায় আছে। দক্ষিণ এশিয়ায় এর নিচে আছে আফগানিস্তান। উন্নতির পথে শ্রীলঙ্কা। আর অতি বাধাগ্রস্ত থেকে সঙ্কটজনক অবস্থায় নেমেছে ভারত।
বেলা`র নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে হাল, তাদের স্কোরটা কীরকম হবে? আমরা তো আমাদের দেশের পুলিশ কেন পেটায় এই নিয়ে খুব চিন্তিত থাকি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিত্রও আমাদের বিমর্ষতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
মত প্রকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে স্বাধীন ডেনমার্ক। আর শূন্য পয়েন্ট নিয়ে সবচেয়ে সঙ্কটে উত্তর কোরিয়া।
একুশে সংবাদ/এ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :