প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত নাগাদ সময়ের মধ্যে দেশের উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে পায়রা ও মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর জন্য বলেছে আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রভাগের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ঝড়টি মধ্যরাত নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশের কয়েকটি জেলায় মহাবিপদ সংকেত দেখানোর কথা বলা হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং অদূরবর্তী দ্বীপ এলাকা। জেলাগুলো ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতের সর্বাধিক ঝূঁকিতে রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবের কারণে আজ বিকেল তিনটা থেকে চৌদ্দটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতসহ দমকা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে। উপকূলের দিকে এটি যতই আসতে থাকবে, ততই দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত ক্রমশ বাড়তে থাকবে।
তিনি আরও জানান, এদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত নাগাদ সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি মোংলার কাছ দিয়ে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :