জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সেনা পাঠানো নিয়ে জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্রের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনালের এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনোই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি। ডয়চে ভেলের উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সোমবার (২৭ মে) গাজীপুর সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠান শেষে সেনাপ্রধান কথা বলেন ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্ব দিয়ে জাতিসংঘ পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ যেভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে, সেভাবে কাজ করে সব ষড়যন্ত্রের সঠিক জবাব দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা পাঠানো নিয়ে জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে তথ্যচিত্র প্রচার করেছে সম্প্রতি। সেখানে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর এ নিয়ে একটি প্রতিবাদলিপি দিয়েছে সেনা সদর। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর আইএসপিআরের মাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে সেনা সদর বলেছে, ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্রটি পক্ষপাতমূলক ও একপেশে। এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ। তথ্যচিত্রটি তৈরিতে ডয়চে ভেলে সেনাবাহিনীর কোনো বক্তব্য নেয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল প্রতিবাদলিপিতে।
সেনা সদর জানিয়েছিল, ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্রে অপ্রাসঙ্গিকভাবে সেনাবাহিনীর ফুটেজ ব্যবহার করে, অপর একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানহানি করাই এর মূল্য উদ্দেশ্য। এটি একটি পক্ষপাতদুষ্ট অভিপ্রয়াস, যা ডকুমেন্টারিটির বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিনষ্ট করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষী নির্বাচনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কঠোর নির্বাচন এবং যাচাইকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। সবচেয়ে যোগ্য ও দক্ষ সদস্যদের মোতায়েন নিশ্চিত করে।
তথ্য বলছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৩১ জন বীর সেনানী সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন এবং ২৩৯ জন আহত হয়েছেন।
সেনা সদরের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগমুক্ত, যা একটি দৃষ্টান্তমূলক অর্জন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :