ঘূর্ণিঝড় রেমালে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত ও ১৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানালেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার সংখ্যা ১০৭টি এবং ইউনিয়নের ও পৌরসভার সংখ্যা ৯১৪টি। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৬ জন।
সোমবার (২৭ মে) এক জরুরী ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলো হচ্ছে- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং যশোর।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪শত ৮৩টি ঘরবাড়ি এবং আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯শত ৯২টি ঘরবাড়ি।
ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে উপকূলীয় এলাকাসমূহে ৯ হাজার ৪শত ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ও স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ লাখেরও বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়াসহ আশ্রিত পশুর সংখ্যা ৫২ হাজার ১শত ছেচল্লিশটি।
এসময় প্রতিমন্ত্রী জানান, দুর্গত লোকজনকে চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ১ হাজার ৪শত ৭১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে যার মধ্যে চালু আছে ১ হাজার ৪শত টিম।
মহিববুর রহমান বলেন, দুর্যোগকবলিত মানুষের সাহায্যে আমরা ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে পনেরোটি জেলায় জি আর (ক্যাশ) তিন কোটি ৮৫ লাখ নগদ টাকা, ৫ হাজার ৫শত মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ, গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
অংশগ্রহণকারী সকল সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসন, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সিপিপিসহ অন্যান্য সেচ্ছাসেবী সংগঠন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন এবং ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় আমরা এ দুর্যোগ কার্যক্রম মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি বলে জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :