রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় পুলিশের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের ভাই বাদি হয়ে রোববার গুলশান থানায় মামলাটি করেন। এতে কনস্টেবল কাউসার আলীকে আসামি করা হয়েছে।
সহকর্মীকে হত্যার ঘটনায় আটক পুলিশ সদস্য কাউসারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরইমধ্যে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম গণমাধ্যমকে জানান, গতরাতের ঘটনায় নিহতের ভাই মাহাবুবুল আলম বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে। তবে আদালত এখনও কোনো নির্দেশ দেননি।
কেন এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা না গেলেও, এর তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শনিবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আলীর ছোড়া গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। এ সময় দুই পুলিশ কনস্টেবল ফিলিস্তিন দূতাবাসের বাইরে অবস্থিত পুলিশ বক্সে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানা যায়, ডিউটিতে প্রায়ই দেরিতে আসায় কাউসারকে কারণ দর্শানোর কাগজ দেখাচ্ছিলেন মনিরুল। সে সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কাউসার। তাতে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পরে বলে ধারণা পুলিশের।
ডিপ্লোমেটিক জোনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের হাতে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা এসএমটি সাবমেশিনগান দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এ অস্ত্র দিয়ে মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি করা যায়। কাউসার এই অস্ত্র দিয়ে উন্মাদের মতো ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন।
একুশে সংবাদ/এ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :