গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এ মামলায় যেসব ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তার মধ্যে দণ্ডবিধির-৪০৯ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে ড. ইউনূসের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
দুদকের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। আর সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে।
এ ছাড়া মানি লন্ডারিংয়ের যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, সেই ধারার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১২ বছর এবং সর্বনিম্ন ৪ বছরের সাজা হয়েছে। অন্যান্য ধারায়ও শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বিষয়টি সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা নিষ্পত্তির পর আদালত পর্যালোচনা করবেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সরকারপক্ষ বারবার চেষ্টা করছে মামলাটাকে অতিদ্রুত শেষ করার জন্য। আমরা বলেছি, এটা তো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল না। তারপর ১৫ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়মিত হয়রানি করা হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। সরকারের নির্দেশেই হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপদান ছিল না মামলাটিতে। আমরা এই অভিযোগ গঠন আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :