প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বিএনপির মুখে ভোটাধিকারের কথা শুনলে হাসি পায়। ভোট চুরি করলে যে ক্ষমতায় থাকা যায় না, ৯৬’তে খালেদা জিয়ার পদত্যাগই তার প্রমাণ।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে কৃষক লীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের পরে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল, শুধু জনগণের ভোট চুরি করাই না, দেশের কৃষকের ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলে তারা। সার পাওয়া যায়নি, কৃষক আন্দোলন করেছে। আন্দোলন করার অপরাধে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করাও হয়েছিল।
কৃষিজমি রক্ষায় গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যের জন্য কারও উপর নির্ভর করতে চায় না বাংলাদেশ। কৃষি জমি কেউ নষ্ট করতে পারবে না। কৃষিজমি নষ্ট করে শিল্পায়ন করা যাবে না। বিশেষ করে তিন ফসলি জমিতে কোনো শিল্প কল-কারখানা করা যাবে না। আমাদের যেন কারও কাছে হাত পেতে চলতে না হয়। এজন্য কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে।
আওয়ামী লীগ ৮৪ সাল থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। পরিবেশ রক্ষা বা জলবায়ু পরিবর্তন তখনও বিশ্বে আসে নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ উদ্যোগ নেয়। সব সময় গাছ লাগানো আমাদের নীতি ছিল। তখন থেকে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করি এবং কৃষক লীগের ওপর দায়িত্ব দেই।
একুশে সংবাদ/য.টি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :