পরিবারের কাছে ছুটে যাওয়ার ঈদযাত্রা যদি খানিকটা স্বস্তিতে হয়, তবে যেন ঈদের আমেজ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। এবারের ঈদে রেলযাত্রা বিগত বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও শিডিউল বিপর্যয়ের মতো ঘটনায় যাত্রীদের বেশ ভোগান্তিতে পোহাতে হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) কমলাপুর রেল স্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো আজও শিডিউল বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে।
ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী রাজশাহী কমিউটার ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আড়াই ঘণ্টা বিলম্বে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ে ১ ঘণ্টা বিলম্বে। আর চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ছাড়ে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট দেরিতে। এছাড়া ঢাকা থেকে রাজবাড়ী টু রাজশাহীগামী মধুমতী এক্সপ্রেস ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪০মিনিট বিলম্বে ছেড়ে যায়।
শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তির কথা জানিয়ে চট্টগ্রামগামী যাত্রী শাহরুখ বলেন, ট্রেনের সঙ্গে শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনা যেন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে। আমার এক বন্ধু এই গরমে বসে থেকে বেহুঁশ হয়ে যায়।
এই যাত্রীর মতে, শিডিউল বিপর্যয়ের সংস্কৃতি থেকে যেদিন রেল বেরিয়ে আসবে, সেদিনই শুধু রেলমন্ত্রী গোল্ডেন এ প্লাস পাবেন।
রাজশাহীগামী আরকে যাত্রী আকবর বলেন, রেল আগের চেয়ে উন্নতি করছে। অন্য ট্রেনগুলো ঠিক টাইমেই ছাড়ছে। কিন্তু আমাদের বেলায় এমন ঘটনা কেন? রাজশাহীর ট্রেনগুলো সব সময় লেট করে ছাড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের।
এ বিষয়ে ঢাকা রেলের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আমিনুল সময় সংবাদকে বলেন, যাত্রী ওঠা-নামায় সময় কিছুটা নষ্ট হয়। এছাড়া রাজশাহীগামী ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়, এর কারণ যমুনা সেতুর দুই পাড়ে সিগন্যালিং সিস্টেম ম্যানুয়াল। এছাড়া ট্রেন যেন দ্রুততম সময়ে প্ল্যাটফর্মে আসে, সে জন্যে আমরা চেষ্টা করছি। অনেক ক্ষেত্রে বিকল্প রেক দিয়ে ট্রেন যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়।
একুশে সংবাদ/স.টি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :