গৌরবের বাংলাদেশ। সেই গৌরবের অংশীদার ৭৫ বছরের আওয়ামী লীগ। এই ভূখণ্ডের সব আন্দোলন সংগ্রাম আর স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের সাথে জুড়ে আছে দলটির নাম। তবে দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, কার্যকর একটি বিরোধী দল ও সুশাসন প্রতিষ্ঠাকেই আওয়ামী লীগের সামনে অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ৬৬’র ছয়দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ -এর নির্বাচন, কিংবা স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন তা দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, দেশের অর্জন আওয়ামী লীগের সংকট কাল কিংবা আজকের বাংলাদেশের যত অর্জন সব মিলিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের প্রদর্শনী ‘ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ বলেন, হঠাৎ করে ২৬ মার্চ ঘোষণার মধ্য দিয়েই আমাদের দেশ স্বাধীন হয়নি। স্বাধীনতার পেছনে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা আছে। অনেক দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই জিনিসটিই আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন করেছি।
বাংলাদেশের চেয়ে বয়সে প্রবীণ এই দলটির গৌরবের কমতি নেই। তাহলে কি ঠিক পথেই হাঁটছে আওয়ামী লীগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ মনে করেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক শাসনকে ফিরিয়ে আনা জরুরি। ক্ষমতাসীন হিসেবে এ দায়িত্ব আওয়ামী লীগের। যে দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী সে দেশ ততো এগিয়ে থাকবে।
অর্থনৈতিক মুক্তিকে আওয়ামী লীগ সব সময় গুরুত্ব দিয়েছে। তবে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা ও সুশাসন নিশ্চিত করাই বর্তমানের চ্যালেঞ্জ, বলছেন এই বিশ্লেষক।
একুশে সংবাদ/এ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :