রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ‘সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম’এর অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসি অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু করা হয় এই উচ্ছেদ অভিযান।
এ সময় মোতাকাব্বির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে, সীমানার ভেতরে যা ছিল সব উচ্ছেদ করা হয়েছে। খালের পাশে যে থাকবে তাকে নিয়ম মেনে থাকতে হবে। এখানে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই অভিযান নয়। ভবন অবৈধভাবে করা হয়েছিল, তাই সেগুলা ভাঙা হয়েছে। ধাপে ধাপে কাজ করা হচ্ছে, অবৈধ যায়গা দখল মুক্ত করে খনন শুরু হবে।
তিনি বলেন, খালের জায়গার ওপরে যারাই স্থাপনা করবে সেসব ভেঙে দেওয়া হবে। সাদিক এগ্রোর স্থাপনার কিছু অংশ খালের ওপরে পড়েছে। সেসব ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর খবরে বুধবার রাত থেকেই ফার্ম থেকে বেশ কিছু গরু-ছাগল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাদিক এগ্রোর সামনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, উচ্ছেদ অভিযানের খবর শোনার পর সাদিক এগ্রোর বেশ কিছু গরু-ছাগল রাতেই সরিয়ে নিতে দেখেছি। এ ছাড়া রাস্তায় এবং খালের জায়গায় থাকা বেশ কিছু স্থাপনাও ইতোমধ্যে সরিয়ে নিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, কোরবানির জন্য রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো থেকে মতিউর রহমানের পুত্র মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কেনার খবর প্রকাশিত হয়।
এরপর থেকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তি থাকার তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। পুঁজিবাজারেও রয়েছে তার মোটা অংকের বিনিয়োগ।
ছাগলকাণ্ডের পর মতিউর রহমানকে কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :