দেশের বন্যাপ্রবণ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এই তথ্য জানিয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, সুরমার পানি কানাইঘাট ও সুনামগঞ্জ; কুশিয়ারার পানি অমলশীদ, শেওলা, শেরপুর-সিলেট ও মারকুলিতে; মনু নদীর পানি মৌলভীবাজারে; সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় ও ভুগাইয়ের নাকুগাঁওয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পাঁচ জেলার (সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, নেত্রকোণা ও শেরপুর) নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা একই সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
এ অবস্থায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদ-নদীর পানির সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী দুই দিনে ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতল বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে এবং মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বুধবার নাগাদ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানির সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :