ডেঙ্গু ইস্যুতে বিশেষজ্ঞরা যেসব পরিসংখ্যান দিয়েছেন, সে অনুযায়ী সতর্ক আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারা দেশে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য অংশীজনের কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা আমাদেরকে যেসব পরিসংখ্যান দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমরা সতর্ক আছি এবং সেটা অনুযায়ী আমাদের সবাই সচেতন আছে। সচেতনভাবে কাজ করছি বলেই হয়তো এখন পর্যন্ত এটা (ডেঙ্গু) নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সব সিটি করপোরেশন, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদসহ সবাই যার যার অবস্থান থেকে যা করণীয় তা করবেন।’
ঢাকায় এখন বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিতে কীভাবে মশক নিধন অভিযান হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযান চলমান আছে। অভিযানের জন্য সব প্রস্তুতি আছে। আমাদের মশক নিধন কর্মীরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছে এবং তারা আরও বেশি নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। এ ছাড়া আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা আছে। এখানে আলোচনা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের সব প্রস্তুতি ঠিক আছে।’
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংশ্লিষ্ট যেসব সংস্থা আছে, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার প্রক্রিয়া বেশ কয়েক বছর আগে থেকে আরম্ভ করেছিলাম। সেটা আমাদের চলমান আছে। নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য আজকের সভায় তারা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে মতামত দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘গতবার আক্রান্তের পরিমাণ বেশি হলেও সিটি করপোরেশনের, বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হয়েছি, আমাদের ঢাকা শহরের মানুষকে আমরা আগের তুলনায় বেশি সচেতন করতে সক্ষম হয়েছি। মানুষ, একটিভিস্টরা আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন।’
তিনি আরও বলেন, সবার সচেতনতার মাধ্যম আমরা এটা (ডেঙ্গু) মোকাবিলা করতে পারি। এর বিকল্প কিছুই নেই, পৃথিবীর কোথাও নেই। যেসব দেশ সফলতা অর্জন করেছে, তারা কিন্তু সব মানুষকে অংশগ্রহণ করাতে সক্ষম হয়েছে।’
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জা.হা
আপনার মতামত লিখুন :