মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ভুক্তভোগীদের টাকা পরিশোধ করতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। নাহলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) নিজ মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে বিপর্যয় বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া ইস্যুতে মানুষ জানতে চায় কী হয়েছে। দেশটির সঙ্গে আমাদের অনেক দিন আগে থেকে কার্যক্রম ছিল। ২০২২ সালে আমাদের চুক্তি ছিল ৫ লাখ ৩২ হাজার জনকে পাঠানোর। কিন্তু গেছেন ৪ লাখ ৩৬ হাজার জন। এর মধ্যে অনেকেই ডিমান্ড ওয়ার্কে গিয়েছেন। অনেকে যাওয়ার পরে নাও করেছেন।
৩১ মে’র ডেডলাইন নিয়ে ২ মে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৫ মে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সঙ্গে সভাও করেছি। কে যাবে কতজন যাবে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপর বিমান ও ইউএস বাংলার ২২ ফ্লাইট এবং বিভিন্ন চার্টার্ড ফ্লাইট গেছে মালয়েশিয়ায়।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) হিসাব অনুযায়ী ১৭ হাজার ৭৭৭ জন যেতে পারেননি। অনেকে জায়গা-জমি বিক্রি করে কিংবা লোন নিয়ে কষ্টার্জিত টাকা দিয়েও যেতে পারেননি। সে হিসেবে আমি মনে করি এটি দুঃখজনক।
তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির কারও ১০ জন, কারও ২০ জন এভাবে লোকজন যেতে পারেনি বলে জেনেছি। প্রায় ২০২৫ জন আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে। আমরা তাদের কাগজপত্র রেখেছি। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও জানে তাদের এবার ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, বায়রার সঙ্গে বুধবার বসেছি। প্রমাণস্বরুপ যারা টাকা দিয়েছে, তাদের সবার টাকা ফেরত দেবে। তাদের ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। যারা টাকা ফেরত দেবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য টাকা ফেরত দেয়ার পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া।
এই মাসের শেষে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বৈঠক হবে বলেও জানান শফিকুর রহমান। জানান, টাকা ফেরত পেলেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেসব গমনেচ্ছুদের আবারও পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
একুশে সংবাদ/স.টি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :