AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কোটা আন্দোলন: বুধবার সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৬:৩৬ পিএম, ৯ জুলাই, ২০২৪
কোটা আন্দোলন: বুধবার সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আগামীকাল বুধাবার (১০ জুলাই) সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। এবার সকল গ্রেডে ৫ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্মটির নেতৃবৃন্দ। 

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থকারের সামনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে কর্মসূচির বিষয়ে জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

এ সময় তিনি জানান, বুধবার সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হবে। দেশের সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ ব্লকেডের আওতায় থাকবে। ব্লকেড সফলে সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আন্দোলনের সমন্বয়ক বলেন, যদি নির্বাহী বিভাগ থেকে কোনো লিখিত পরিপত্রের মাধ্যমে সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে যৌক্তিক সংস্কারের তথ্য জানানো হয়, তাহলেই আমরা রাজপথ থেকে ক্লাসে ফিরবেন।

এ সময় উচ্চ আদালতে আজ যে দুই শিক্ষার্থী কোটার বিষয়ে রিট করেছেন তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সকল গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।

সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন,  আমরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি এটা কোটা বাতিলের নয় বরং বাস্তবতার সাথে সমন্বয় করে যৌক্তিক সংস্কার।  বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাদের দাবিকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছে। এই আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নয়। বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের রিওয়ার্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি।

আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতি, পোষ্য কোটার বিরোধিতা করছি। আমাদের আন্দোআন্দোলন গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে৷ কৃষক, শ্রমিক, প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা সবাই সমর্থন  জানিয়েছেন।  আমরা নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, গণমাধ্যম সবার সাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমাদের আন্দোলন নির্বাহী  বিভাগের কাছে। যদি নির্বাহী বিভাগ থেকে লিখিত ডকুমেন্ট বা পরিপত্র জারি করে যদি নিশ্চিত করা হয় যে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল গ্রেডে যৌক্তিক সংস্কার করা হবে তাহলে আমরা আনন্দ মিছিল করে রাজপথ ছেড়ে পড়ার টেবিলে ফিরে আসবো।
 

একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা

Link copied!