রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কোটা আন্দোলনকারীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে প্রবেশ করে রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ে ২০ মিনিট অবস্থানের পর ফিরে এসে গণমাধ্যমকে এ কথা জানায় প্রতিনিধিদলটি।
তারা বলেন, আমরা বলেছি কোটা বাতিল করে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আমরা পদযাত্রা সফল করেছি। আমরা সরকার থেকে এখনও আশ্বাস পাচ্ছি না। কোটা সংস্কারের এখতিয়ার সরকারের। কিন্ত সরকার এড়িয়ে যাচ্ছে।
এ সময় জনদুর্ভোগের মতো কর্মসূচি দিতে চান না উল্লেখ করে আন্দোলনকারীরা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা আমরা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী কর্মপরিল্পনা দেবো। এ সময় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়। মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
পরে আন্দোলনকারীরা সচিবালয় হয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে ফিরতে শুরু করেন।
এর আগে, রবিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে গণপদযাত্রা শুরু করে শাহবাগ-মৎসভবন হাইকোর্ট মোড় হয়ে গুলিস্তান জিপিওর সামনে প্রথম পুলিশি বাধার মুখে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর তারা বেরিকেড ভেঙে গুলিস্তান পাতাল মার্কেট সংলগ্ন মোড়ে আবারও বাধার মুখে পড়েন।
এখানে সবাই পৌঁছানোর পর আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আর সামনে এগোবেন না। এরপর যদি কেউ আগান তাহলে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। সমন্বয়করা বিশৃঙ্খলার দায়ভার নেবেন না। সবাই যার যার জায়গায় অবস্থান করুন। পরে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদসহ ১২ জনের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে যান। প্রতিনিধিদলে ছিলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, সার্জিস আলম, আরিফ হোসেন, হাসিব আল ইসলাম, উমামা ফাতেমা, রিফাত রশিদ, সুমাইয়া, আব্দুল হান্নান মাসুদ, মো. মাহিন সরকার, আব্দুল কাদের ও মেহেরান নিসা।
একুশে সংবাদ/এ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :