কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে ‘অপমানজনক’ বক্তব্য প্রত্যাহার ও একদফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাবির পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত হন।
দুপুর ১২টার পর প্রথম মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। পরে মিছিল নিয়ে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর দলে দলে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে থাকেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ‘চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘কে রাজাকার কে রাজাকার? তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’, ‘কে বলে রে রাজাকার? ধিক্কার ধিক্কার’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা’, ‘দেশটা কারো বাপের না’, ‘তুমি নও আমি নই, রাজাকার, রাজাকার’, ‘আমি কেন রাজাকার? শেখ হাসিনা জবাব দাও’, ‘টোকাই দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা, এমন নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৪ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।
এই বক্তব্যের প্রতিবাদে এদিন রাতে বিক্ষোভে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দেন তারা।
রোববার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কোটা আন্দোলনকারীরা। এর প্রতিবাদে রাতেই তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ করে।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :