ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক গতকাল রোববার তাদের সব আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে গতকালই নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেন বাইরে থাকা কয়েকজন সমন্বয়ক। সেই ঘোষণা অনুযায়ী সারা দেশে ‘ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ’ কর্মসূচি এবং ‘প্রতিবাদ সমাবেশ’ করার কথা তাদের।
সোমবার (২৯ জুলাই) মিরপুরে ইসিবি চত্বরে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।
ঢাকাসহ সারা দেশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রয়েছে সেনাবাহিনীর টহল।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, বাড্ডা, রামপুরা, প্রেস ক্লাব, যাত্রাবাড়ীতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। সড়কেও বাড়তি পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। সড়কে যানবাহনের চাপও রয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ সারা দশে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বাড্ডা জোনের সরকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজম কুমার সাহা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। বাড্ডা এলাকায় স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করছে।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। সড়কে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, বিশৃঙ্খলাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলন নেতারা এক ভিডিওবার্তায় বলেন, আন্দোলনের প্রধান দাবি কোটার যৌক্তিক সংস্কার মেনে নিয়েছে সরকার। তাই সার্বিক স্বার্থে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ভিডিওবার্তায় সহিংস ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচার দাবি করেছিলেন আন্দোলনের সমন্বয়করা।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :