কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশে সহিংসতায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তালিকা করছে সরকার। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। সহিংসতাকারীদের তালিকা প্রস্তুত করতে ‘সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি’কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা প্রস্তুত করে তা প্রতিবেদন আকারে বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) এ-সংক্রান্ত চিঠি সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৭ মার্চ দেশের মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সব বিভাগীয় কমিশনারদের চিঠি পাঠানো হয়েছিল। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উক্ত পত্রের আলোকে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গৃহীত কার্যক্রমের প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হলো।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দশম জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলে। এর অংশ হিসেবে ওই সময় দেশব্যাপী সহিংসতার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০১৩ সালের ৭ মার্চ দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করে সরকার। নির্বাচনের পর নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে ওই কমিটি। মূলত এই কমিটি পুনরুজ্জীবিত করে এর মাধ্যমে চলমান সহিংসতা ও নাশকতাকারীদের তথ্য-উপাত্ত নেবে সরকার।
‘সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি’র চিঠিতে বলা হয়েছিল, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিদ্যমান ‘সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি’র প্রধান হবেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যথাক্রমে জেলা ও উপজেলা কমিটির সভায় উপদেষ্টা হিসেবে অংশ নেবেন।’
একুশে সংবাদ/ঢ.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :