বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন প্রশাসনের কেন্দ্র বিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক।
অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতো রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ৯টার আগে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয়ে আসতে থাকেন।
আর অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে।
রাজধানীর আব্দুল গণি রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ সিভিল প্রশাসনের এ কেন্দ্রবিন্দু। বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে পরিচালিত হয় সিভিল প্রশাসন। মন্ত্রী-সচিব ছাড়াও কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিস করেন এ সচিবালয়ে।
শনিবার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের পদত্যাগ এবং সরকারকে অসহযোহিতার আহ্বান জানায়।
তাদের এ ঘোষণার পরদিন সচিবালয়ের সামনে সকাল ৯টার আগে কর্মচারীদের বহন করা সরকারি পরিবহন পুলের বিআরটিসি বাসগুলো বিভ্ন্নি রুট থেকে আসা শুরু করে। বাস থেকে নেমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১ নম্বর প্রবেশ মুখে হেঁটে প্রবেশ করেন।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা জানান, অন্যান্য দিনের মতোই এ গেট দিয়ে কর্মচারীরা ঢুকছেন। উপস্থিতিও স্বাভাবিক। এ ছাড়া অন্যান্য গেট দিয়ে কর্মকর্তাদের গাড়িগুলো প্রবেশ করছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সচিবালয়ে উপস্থিতি অন্যান্য দিনের মতোই। তবে আজ রাস্তায় এবং সচিবালয়ে প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যা কম। বেলা ১১টার পর ভিড় বেড়ে যাবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মচারী বলেন, আমরা সরকারি কর্মচারী। সরকারের নির্দেশনা মেনে অফিস করি। আজ উপস্থিতি স্বাভাবিক।
সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনের লিফট, টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রসহ খাবার দোকানে ভিড় নিত্যদিনের মতোই। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাউকে কাউকে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাও করতে দেখা গেছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :