AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নির্বাচন কমিশনারদের দায়মুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৩:৩৩ পিএম, ১৮ আগস্ট, ২০২৪
নির্বাচন কমিশনারদের দায়মুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন

 বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ নিয়ে দেশের কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্তাপন করা যাবে না বলে ৯ ধারায় প্রদত্ত এই দায়মুক্তি দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে দায়মুক্তি দেওয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

আজ রোববার (১৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।

রিটকারী আইনজীবীরা হলেন, আব্দুল্লাহ সাদিক, জিএম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক এবং একেএম নুরুন নবী।

রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার আইন ২০২২ এর ধারা ৯ চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতঃপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এই আইনের ধারা ৯ এর মাধ্যমে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে বিচার বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে, যা সংবিধানের ২৬, ২৭ এবং ৩১ অনুচ্ছেদ, ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থী।

এই আইনের ধারা ৯ এর মাধ্যমে বিচারবিভাগের ক্ষমতা কেঁড়ে নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে দেশের কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্তাপন করা যাবে না। এই ধরনের দায়মুক্তি সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক।

দেশের তিনটি বিভাগ রয়েছে। আইন-বিচার ও সংসদ বিভাগ। আইন সভা আইন পাশ করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে না। কারণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা (Independence of judiciary) সংবিধানের মৌলিক কাঠামো (Basic Structure)। ৯ ধারার মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। এই রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে বিবাদী করা হয়।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!