রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া সোহাগ মিয়া (১৬) নামে এক কিশোর হত্যা মামলায় জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও টানা আটবারের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (২৪ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাকে দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ।শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৯ জুলাই সময় ভাটারা এলাকায় সোহাগ মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা শাফায়াৎ হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আ স ম ফিরোজকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ সম্বোধন করলে প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা। ওই আন্দোলন প্রতিহত করতে শিক্ষার্থীদের দমন করার ঘোষণা দেন আসামিরা। এরই ফলশ্রুতিতে গত ১৯ জুলাই বিকেল ভাটারা থানার ১০০ ফিট রোডের ফরাজী হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকারি নির্দেশনায় গুলিবর্ষণ করলে আমার ছেলে সোহাগ মিয়া (১৬) এর বাম কানের মধ্যে লেগে মাথার পেছন দিয়ে গুলিটি বেড়িয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়।
এর আগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে আ স ম ফিরোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ আওয়ামী লীগ নেতা আটবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসন থেকে জয়ী হন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে এক নম্বর প্যানেল স্পিকার হিসেবে স্পিকারের আসনে বসে সংসদ পরিচালনাও করেছিলেন আ স ম ফিরোজ।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :