`সপ্তাহ খানেক আগেও কুমিল্লায় ত্রাণ দিয়েছি। আজ জরুরি ঔষধ যা বন্যা পরবর্তী সময় দরকার হয় ও একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে এসেছি। জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। বন্যায় ক্ষতির পরিমান দেখে যারা প্রাপ্য তার বিষয়ে আলোচনা করে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও বুড়িচং উপজেলায় বন্যার্তদের জরুরি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণের পর বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন। এসময় শিশু ও গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও এইচ এন্ড এইচ ফাউন্ডেশনের হেলথ কেয়ার প্রজেক্ট কনসালটেন্ট ডা. রেহানা খানমের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিনিধি দল বন্যায় অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে কুমিল্লার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ৬ জনের চিকিৎসার খোঁজখবর নিলেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। পরে বন্যার কারণে অসুস্থদের পরিদর্শন ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বস্ত্র ও পাট এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নিজ উদ্যোগ ও এইচ এন্ড এইচ ফাউন্ডেশন, পিএসও, এস এস গ্রুপের ও অন্যান্য সংগঠনের সহায়তায় প্রায় ৭০ হাজার ঔষধ এবং ১০০০ প্যাকেট শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে, এর মধ্যে পাউডার দুধ,চকোলেট, ম্যাংগো বার,বিস্কুট, চিপস,চানাচুর ইত্যাদি ও প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম সেনাক্যাম্পের লে. কর্নেল মো: মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রহমতুল্লাহ, সার্কেল এএসপি জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদা বেগম সহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :