ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম (এফএইচ) হলে তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ছয় শিক্ষার্থী দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
শিক্ষার্থীরা হলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. জালাল মিয়া; মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম। এদের মধ্যে জালাল মিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপসম্পাদক।
আজ শুক্রবার সকালে তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। পরে আদালত তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা গেছে, তোফাজ্জল গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে বঙ্গবাজার এলাকার পাশের এফএইচ হলের গেট দিয়ে মাঠের ভেতরে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাঁকে আটক করে হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে তাঁকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর আবার তাঁকে হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, কয়েকজন ছাত্রের মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরি হয়েছিল। চোর সন্দেহে তোফাজ্জলকে স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করা হয়েছিল। পরে রাত ১২টার দিকে হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষক তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে এই শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :