অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিমের বাজার স্থিতিশীল পর্যায়ে আনার ক্ষেত্রে সাফল্য না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি জানান, ডিম ট্রাকে থাকা অবস্থাতেই কারওয়ান বাজারে চারবার হাতবদল হয়।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ডিম ট্রাকে থাকা অবস্থাতেই কারওয়ান বাজারে চারবার ডিমের হাত বদল হয়। এখনো পর্যন্ত এই সরকার কোনো সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। শুধু সিন্ডিকেটের সাইনবোর্ড পরিবর্তন হয়েছে। সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক মাহাত্ম্য কী?
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ডিম কিনতে ১৭০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। এই দাম অনুযায়ী হালি প্রতি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায়। আর সাদা ডিম কিনতে হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায়। লাল ডিম পাড়া মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালিতে আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা হালি দরে। ডিমের এই বাড়তি দর কমাতে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার ভারত থেকে ডিম আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
এরমধ্যে ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শর্তসাপেক্ষে মঙ্গলবার ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে সীমিত সময়ের জন্য ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। ৭টি কোম্পানিকে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলেও জানানো হয়।
একুশে সংবাদ/বা.জা/ বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :