AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ডিপফেক রোম্যান্স কেলেঙ্কারি


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৮:০৬ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
ডিপফেক রোম্যান্স কেলেঙ্কারি

‘ডিপফেক রোম্যান্স কেলেঙ্কারি’র ফাঁদে পড়ে এশিয়াজুড়ে কোটি কোটি ডলার খুইয়েছেন অনেকে। ফাঁদে পড়া পুরুষদের কাছ থেকে তারা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে চার কোটি ৬০ লাখ ডলারের বেশি (টাকার হিসাবে প্রায় ৫৫২ কোটি)।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এমনই একটি ডিপফেক রোম্যান্স কেলেঙ্কারিতে পড়ে এশিয়ায় অনেক পুরুষের কোটি কোটি ডলার খোয়ানোর ওই কথা প্রকাশ করে হংকং পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন‍‍`র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

হংকংয়ের পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগী পুরুষ সত্যিকারের কোনো নারীর প্রেমে নন; বরং ‘ডিপফেক রোমাঞ্চ কেলেঙ্কারি’র ফাঁদে পড়েছেন। ডিপফেক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সহায়তায় ওই ভিডিও তৈরি করেছে একটি অপরাধী চক্র। আর ফাঁদে পড়া পুরুষদের কাছ থেকে তারা হাতিয়ে নিয়েছে চার কোটি ৬০ লাখ ডলারের বেশি (টাকার হিসাবে প্রায় ৫৫২ কোটি)।

ছবি বা ভিডিওকে বিকৃত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নিখুঁতভাবে তৈরি করে হুবহু আসলের মতো বলে প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রযুক্তির জগতে ‘ডিপফেক’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এসব ভিডিওতে কোনো ব্যক্তিকে এমন কথা বলতে শোনা যায়, যা তারা বলেননি। এমন কাজ করতে দেখা যেতে পারে, যা তারা করেননি। ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় বিকৃত করা এসব ভিডিও কনটেন্ট প্রচলিত টেক্সট ও বিকৃত করা ছবির চেয়েও মারাত্মক। এসব ভুয়া ভিডিও ও তথ্য মানুষকে বেশি টানতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কথিত প্রতারক চক্রের দুই ডজনের বেশি সদস্যকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে তারা। এসব প্রতারক তাইওয়ান থেকে শুরু করে সিঙ্গাপুর, এমনকি ভারতের অনেক পুরুষকেও তাদের ফাঁদে ফেলেছেন।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও ছয়জন নারী। হংকংয়ের হাং হোম এলাকার চার হাজার বর্গফুটের একটি অফিস থেকে প্রতারক চক্রের এই সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বয়স ২১ থেকে ৩৪ বছর। সন্দেহভাজন এই প্রতারকেরা প্রধানত উচ্চশিক্ষিত। তাদের অনেকেই ডিজিটাল মিডিয়া ও প্রযুক্তিতে স্নাতক ডিগ্রিধারী। স্থানীয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই তাদের ওই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োগ দেন প্রতারক চক্রের মূল হোতারা।

পুলিশ আরও বলেছে, ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা একটি ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে বিদেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই তারা ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অর্থ বিনিয়োগে বাধ্য করতেন।
 

একুশে সংবাদ/ এস কে

Link copied!