প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) নতুন মহাপরিচালক হয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
জানা গেছে, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি) ১১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে ১৯৯২ সালের ৯ জুন ২৬ বিএমএ লং কোর্সের সঙ্গে কমিশন লাভ করেন। তার দীর্ঘ বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বিভিন্ন কমান্ড ও স্টাফ এপয়েন্টমেন্টে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডিং অফিসার হিসেবে তিনি ১৪ বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট কমান্ড করেন। তিনি ব্রিগেড কমান্ডার এবং রিজিওন কমান্ডার হিসেবে যথাক্রমে ৪৪ পদাতিক ব্রিগেড এবং ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ড করেছেন। স্টাফ হিসেবে, ইউনিট, ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার, ডিভিশন হেডকোয়ার্টার, আর্মি হেডকোয়ার্টার এবং চিফ অব আর্মি স্টাফ সেক্রেটারিয়েটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগে দায়িত্ব পালনের বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। এছাড়া তিনি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থাতে (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স- এনএসআই) প্রায় এক বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশনে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীতে তিনি ডেপুটেশনে পদাতিক নিরাপত্তা ব্যাটালিয়নের লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি জেনারেল ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিরপুর এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর থেকে স্নাতক। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন কোর্স ছাড়া নিউজিল্যান্ড ও উগান্ডায় বিদেশি কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
রানা প্লাজা দুর্যোগের সময় অসামান্য ও অনুকরণীয় পারফরম্যান্সের জন্য তিনি ‘বিশেষ সেবা পদকে’ ভূষিত হন। তিনি শান্তিরক্ষা মিশনে অনুকরণীয় পারফরম্যান্সের জন্য ‘ফোর্স কমান্ডার কমেন্ডেশন’ এবং কমান্ডিং অফিসার হিসেবে চমৎকার কাজ করার জন্য CAS-এর ‘সার্টিফিকেট অফ অ্যাপ্রিসিয়েশনে’ ভূষিত হন।
সর্বশেষ তিনি ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানে তিনি কুমিল্লায় আকস্মিক বন্যার কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনুকরণীয় অবদান রেখেছেন এবং অনেক বন্যার্তদের জীবন বাঁচাতেও ভূমিকা রেখেছিলেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :