মেট্রোরেল স্টেশন থেকে সরাসরি সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ। তবে এটি বাস্তবায়ন হলেও সচিবালয়ে ঢুকতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, সম্প্রতি ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় মেট্রোরেল প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, এমআরটি লাইন-৬ এর কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ সিপি-৬ এর মেয়াদ আগামী ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সমাপ্ত হবে। এই সময়ের মধ্যে স্টেশন থেকে সরাসরি সচিবালয়ে ঢুকতে সংযোগ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করতে দ্রুত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে সচিবালয়ের নিরাপত্তা শাখার উপসচিব আশাফুর রহমান জানান, এ বিষয়ে জননিরাপত্তা বিভাগে আলোচনা চলমান হয়েছে। সচিবালয়ের নিরাপত্তার বিষয়গুলো গভীরভাবে বিশ্লেষণের পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ, কে, এম শামীম আক্তার জানান, সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য মেট্রো স্টেশন থেকে সরাসরি সচিবালয়ে সংযোগ স্থাপন হলে নিরাপত্তার কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল তুলনামূলক কম প্রয়োজন হবে। এজন্য এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত দিতে জননিরাপত্তা বিভাগকে অনুরোধ করেছি।
বিষয়টি প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাফিউল হাসান জানান, যেহেতু প্রকল্পের মাধ্যমে এটি নির্মাণ করার সুযোগ রয়েছে, সেক্ষেত্রে মেট্রো স্টেশন থেকে সরাসরি সচিবালয়ের ভেতর পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করা যেতে পারে। সরাসরি সংযোগ স্থাপন হয়ে গেলে পরে জননিরাপত্তা বিভাগের প্রয়োজন মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, শাহবাগ মেট্রোরেল স্টেশনের কনকোর্স লেভেল থেকে বিএসএমএমইউ এবং বারডেম জেনারেল হাসপাতালে যেভাবে সরাসরি যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে, একইভাবে মেট্রোরেল স্টেশন থেকে সরাসরি সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশের জন্য সংযোগ স্থাপনে ডিএমটিসিএল পরিকল্পনা করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্প মেয়াদের মধ্যে মেট্রো স্টেশন থেকে সরাসরি সংযোগের কাজটি সম্পন্ন করা হলে প্রকল্প থেকে এর নির্মাণ ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। এজন্য আমরা জোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই বিষয়টি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারি সেজন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সচিবের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ইত্তে/এন
আপনার মতামত লিখুন :