বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান জানান, ২০০৫ সালে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ যুক্তরাষ্ট্রে নাহার ম্যানেজমেন্ট ইনকর্পোরেটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সেখানে ৯টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তিনি দুবাইয়ে কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবসার জন্য দুটি প্রতিষ্ঠান খুলেন।
তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীর নামে আল-বারশা সাউথ-থার্ড এলাকায় ২২ লাখ ৫০ হাজার ৩০০ দিরহামের মূল্যমানের দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং আরব আমিরাতে ৬২০টি বাড়ি ক্রয় করেছেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৮ কোটি ডলার। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে, ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি ও তার স্ত্রী রুখমিলা জামান যুক্তরাজ্য ও দুবাইয়ে ৮টি প্রতিষ্ঠান খুলেছেন, যার স্থায়ী ও চলতি সম্পদের মূল্য ২১ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ দিয়ে তিনি এসব কোম্পানি খুলে বিনিয়োগ করেছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক যাদের বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে, তাদের তালিকায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী বা তার পরিবারের কারও নাম নেই।
উল্লেখ্য, ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে তার বিদেশে থাকা সম্পদের কোনো তথ্য নেই। অর্থ পাচার ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুসারে সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :