উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি কর্তৃক সশস্ত্র হুমকি আতঙ্কে ও নিরাপত্তার দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। চরম ভোগান্তিতে সেবাগ্রহীতারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৭ নং বামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহানারা বেগম। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
স্থানীয়, অভিযোগ সূত্রের জানা যায়, গত ১১নভেম্বর সোমবার ইউনিয়ন পরিষদের হত দরিদ্রদের নির্ধারিত ভিডব্লিউবি কার্ডের (পূর্বের ভিজিডি) চাউল বিতরন কার্যক্রম চলছিল। হঠাৎ উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি (এক অংশের)আলম রাঢ়ী ৪থেকে ৫ জন সমর্থক নিয়ে পরিষদে আসে এবং আমার ইউপি সচিব জনাব মোঃ গিয়াস উদ্দিন হাওলাদারকে অকথ্য ভাষায় গালমন্ধ করে। এক পর্যায় আলম রাঢ়ী ইউপি সচিবকে মারাধরের জন্য তেরে আসে।ইউপি সচিব জানান আলম রাঢ়ী গালমন্দ করেই ক্ষান্ত হননি তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।
এ সময় পরিষদের চৌকিদার স্থানীয় উপস্থিত জনসাধারণের প্রতিরোধে রক্ষা পান। এ বিষয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহানারা বেগম প্রতিবেদকদের কে জানান ঘটনাস্থলে এসে আমি প্রতিবাদ করলে আমার জীবন নাশের হুমকি দেয়। হুমকির বিষয় সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর আতঙ্কিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসা বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ১২ নভেম্বর বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এবং আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা পরিষদে যাব না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আলম রাঢ়ীর বিরুদ্ধে বিগত সময় হত্যা ও ডাকাতিসহ ৪০টির এর বেশি মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজা জানান, তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান, বিষয়টি শুনেছি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দাখিলকৃত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মোঃ আলম রাঢ়ী বিষয়টি নিয়ে বলেন, আমরা ভিজিডি চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবাদ করেছি এবং মাস্টার রুল দেখতে চেয়েছি এতে সচিব ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মুখের উপরে মাস্টার রুল নিক্ষেপ করেছে তাই রাগ করে টেবিলের থাপ্পর দিয়েছি কোন প্রকার অস্ত্র প্রদর্শন করিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :