রাজধানীর বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে সকলকে মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘বায়ু দূষণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যদিও এর জন্য সরকার দায়ী নয়। এর রাতারাতি কিংবা সহজ কোনো সমাধান নেই। বায়ু দূষণ প্রায় ৩০ শতাংশ। শীতকালে এটি প্রায় ৪০ ভাগ। যেভাবে দূষণ কমানো যায় সে চেষ্টা করছি। সরকার এলার্ট সিস্টেম চালু করছে। অনুসরণের অনুরোধ করা হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। যাদের পক্ষে সম্ভব এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন।’
এ সময় উপদেষ্টা রিজওয়ানা জানান, এয়ার পিউরিফায়ারের ট্যাক্স পুনঃবিবেচনার জন্য এনবিআরকে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পিউরিফায়ারের দাম সামর্থ্যের মধ্যে আনার চেষ্টা করছে সরকার। প্রথম থেকেই সরকারি প্রতিষ্ঠান সজাগ থাকলে এখন এ পরিস্থিতি হতো না।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত আছে ২০২৫ সালের পর থেকে পোড়ানো ইট ব্যবহার করা যাবে না। ইট ভাটা থেকে সরে আসতে হবে। ব্রিক ফ্রি জোন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলাম। আগামী বর্ষার আগ পর্যন্ত টাস্কফোর্স কাজ করবে।’
আসন্ন শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে পরিবেশ দূষণ রোধে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে একটি আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় স্থানীয় সরকা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘খোঁড়াখুঁড়ির সাথে অনেক মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংশ্লিষ্ট। যে কেউ খোড়াখুড়ি করতে গেলে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে।’
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘পানি ছিটানোর পরিমাণ বাড়ানো হবে। মাসে ৫৪০ ট্রাক পানি ছিটানো হয়। নির্মাণ সামগ্রী যেন ঢেকে পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে। খাস জমিতে পার্ক করা হবে। বর্ষা মৌসুম আসার আগ পর্যন্ত বায়ু দূষণ রোধে টাস্কফোর্স করা হবে।’
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :