অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এদিকে তদন্তে নাম এসেছে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকেরও। এই ঘটনায় তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অফিসের কর্মকর্তারা।
দ্য টেলিগ্রাফ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ আত্মসাতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেছেন, অভিযোগের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
টিউলিপ ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া। তবে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তার খালা ও বাংলাদেশের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার সাথে একটি দুর্নীতির চুক্তিতে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।
টেলিগ্রাফ বলছে, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসার পর টিউলিপ সিদ্দিক দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় এবং নৈতিকতা দলের (পিইটি) প্রতিনিধির সাথে বৈঠকে যোগ দিতে সম্মত হন। গত বৃহস্পতিবার পিইটি’র ওই কর্মকর্তা টিউলিপ সিদ্দিকের অফিসে যান। পরে ওই কর্মকর্তার কাছে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির সাথে তার জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেন টিউলিপ।
অন্যদিকে টিউলিপ সিদ্দিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ভুয়া কোম্পানি ও মালয়েশিয়ার একাধিক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে চার বিলিয়ন পাউন্ড যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন বলে অভিযোগের (রিট) ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
অভিযোগ সামনে আসার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে, টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আস্থা রয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।
যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি পার্টি) এক সংসদ সদস্য (এমপি) দেশটির পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনারকে চিঠি লিখে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করার দাবি জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি বলেছে, এ বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। আর তিনি অভিযোগগুলোকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :