শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স আপাতত স্থগিত থাকবে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে রোড সেফটি বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, শিক্ষানবিশ হিসেবে তিন মাসের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়, তবে এর পর অনেকেই স্থায়ী লাইসেন্স নেন না। ফলে, শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন মাস পর স্থগিত থাকবে এবং স্থায়ী লাইসেন্স না নিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিগত বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ১২ শতাংশ বেড়েছে এবং এর দায় সরকার নিচ্ছে।
তিনি জানান, প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিআরটিএ, সড়ক ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকলে তাদের দায় নিতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ক্ষেত্রে দায় নিতে হবে বিআরটিএকে।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, গাড়ির ফিটনেস সনদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চালকদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও দায়িত্ব দেওয়া হবে। বর্তমানে সাড়ে চার লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স এখনও ঝুলে রয়েছে, তবে বিআরটিএকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল এবং এর মধ্যে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তাদের কার্যক্রম মনিটর করা হবে, এবং ভালো সেবা দিতে না পারলে প্রয়োজনে বিআরটিএ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :