AB Bank
ঢাকা বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিজিবি-বিএসএফ আলোচনার সিদ্ধান্ত সীমান্ত সম্মেলনে


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯:৩০ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
বিজিবি-বিএসএফ আলোচনার সিদ্ধান্ত সীমান্ত সম্মেলনে

মহাপরিচালক পর্যায়ে আগামী ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি চার দিনব্যাপী ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।

সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে যাচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ ১২ জন কর্মকর্তা। সীমান্ত সম্মেলনে ১২টি বিষয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এই ১২ জনের নাম অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মনিরুল হাসানের সই করা এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিজিবি ও বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি। সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়াদি যেমন- সীমান্ত হত্যা, ভারতের শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, নদীগুলোর পানির সুষম বণ্টনসহ ১২টি বিষয়ে সীমান্ত সম্মেলনে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিষয়গুলো হলো-

১. বিএসএফ/ভারতীয় নাগরিক/ভারতীয় দুষ্কৃতকারীদের সীমান্ত হত্যা/সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো/আহত করা বন্ধ করা।

২. বিএসএফ/ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া/আটক করা বন্ধ করা।

৩. বিএসএফ/ভারতীয় নাগরিকদের সীমানা লঙ্ঘন/অবৈধ পারাপার/অনুপ্রবেশ বন্ধ।

৪. ভারত থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ।

৫. সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে ভারতের অনুমোদনহীন উন্নয়নমূলক অবকাঠামো নির্মাণকাজ এবং বিএসএফের বাধায় বন্ধ থাকা বাংলাদেশ পার্শ্বের উন্নয়নমূলক কাজ নিষ্পত্তি করা।

৬. আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে বর্জ্য পানি প্রবাহিত হয়, এমন চারটি খালে পানি শোধনাগার স্থাপন।

৭. বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী নদীগুলোর পানির সুষম বণ্টন, নদী থেকে পানি উত্তোলন, পানি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় উন্মুক্ত করা।

৮. বিএসএফ/ভারতীয় নাগরিক/ভারতীয় দুষ্কৃতকারী/অপরাধীদের আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধ।

৯. বিতর্কিত মুহুরির চর এলাকায় সীমানা নির্ধারণ ও বিভিন্ন এলাকায় বর্ডার পিলার স্থাপনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করা।

১০. বাংলাদেশের বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘গুজব’ ছড়ানো বন্ধ করা।

১১. সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য ‘কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (কো-অর্ডিনেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান সিবিএমপি)’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন।

১২. পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ।

দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে এবং দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সমুন্নত রেখে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!