AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ডিসেম্বরে ভোট ধরে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ ইসির


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১২:০৪ পিএম, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
ডিসেম্বরে ভোট ধরে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ ইসির

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন আয়োজনের সময়সীমা হিসেবে ডিসেম্বরকে নির্ধারণ করে কমিশন কর্মপরিকল্পনা প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটের অন্তত ছয় মাস আগে দুই ডজন বিষয়ভিত্তিক কাজের ফর্দ তৈরি করে রাখতে হবে। সেজন্য রোডম্যাপের আদলে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ নিয়ে খসড়া তৈরির কাজ চলছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সোমবার বলে বলছেন, “ভোটের প্রাথমিক কাজ শেষ করে জুন-জুলাইয়ে ‘কর্মপরিকল্পনা বা অ্যাকশন প্ল্যান’ ঘোষণা করা হবে ইনশাহআল্লাহ।”

এ নির্বাচন কমিশনারের ভাষ্য, ডিসেম্বরে নির্বাচন- এটা ‘আয়নার মত পরিষ্কার’ হয়ে আছে। এখন বিভ্রান্তি দূর করতে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ প্রকাশ করতে হবে।

  • সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধে ‘কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ’ অনুষ্ঠান করে তৎকালীন ইসি।

  • এর আগে একাদশ সংসদ ২০১৮ সালে অক্টোবরের মাঝামাঝি ভোটের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নসূচি অনুমোদন করে তৎকালীন কমিশন।

  • দশম সংসদ নির্বাচনের দুই বছর আগে রোডম্যাপ ঠিক করে তৎকালীন ইসি।

  • নির্বাচন কমিশন প্রাক নির্বাচন ও তফসিল পূর্ববর্তী ‘প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা’ এবং তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পরিচালনার জন্য ‘কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সূচি’ সংক্রান্ত চেক লিস্ট তৈরি করে কাজের সুবিধার জন্য।

  • ২০০৭-২০০৮ সালে প্রথমবারের মত রোডম্যাপ ঘোষণা করে তৎকালীন ইসি। ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই দেড় বছরের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়, যাতে ২০০৮ সালে অক্টোবর-ডিসেম্বরে তফসিল ও ভোটের সময়সূচি ধরা হয়। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। আইন-বিধি সংস্কার, দল নিবন্ধনের পর সেই ভোটার তালিকা দিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়।

  • পরবর্তী সময়ে বিষয়টি রোডম্যাপ বা অ্যাকশন প্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা বা চেকলিস্ট নামে পরিচিত রয়েছে, যা ইসি এখনও অব্যাহত রাখছে।

গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদলের পর ২০২৪ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব নেয় এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন। আসছে মেতে তাদের ছয় মাস পূর্ণ হবে। এর মধ্যেই ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজও শেষ হবে।

আর ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে নিজেদের মেয়াদের ১৩ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের কাজ সারতে হবে এ কমিশনকে।

সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি সাপেক্ষে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে।

তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, এ বছরের ডিসেম্বরেই টার্গেট; সেজন্য জুলাই-অগাস্টের মধ্যে সব প্রস্তুতিমূলক কাজ গুছিয়ে রাখা হবে। মত বিনিময় করা হবে অংশীজনদের সঙ্গে। অক্টোবরের দিকে তফসিল ঘোষণারও পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।

আগেও ডিসেম্বরে ভোট করতে নভেম্বরের দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার নজির রয়েছে।

নতুন দল নিবন্ধন, সীমানা নির্ধারণ, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা, দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক নীতিমালা, ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার, নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটাসহ সংশ্লিষ্ট আইন-বিধি সংস্কারের পদক্ষেপও নেয়া হচ্ছে।

রাজনৈতিক দল, অংশীজনের সঙ্গে মত বিনিময়, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা, ভোটের বাজেট চূড়ান্ত, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও মাঠপ্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের ব্রিফিং, নির্বাহী-বিচারিক হাকিম নিয়োগ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত, প্রশিক্ষণ, ম্যানুয়েল মুদ্রণ, মনোনয়নপত্র মুদ্রণসহ আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে কাজের শুরু ও শেষ করার সম্ভাব্য সময় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

তফসিলের আগে-পরে ভোটার তালিকা মুদ্রণ, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, ব্যালট বাক্স সরবরাহ, ব্যালট পেপার ছাপানো থেকে ফলাফল গেজেটে প্রকাশের মত কাজের শতাধিক ফর্দ থাকে অ্যাকশন প্ল্যানে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, এটাকে ‘রোডম্যাপ’ না বলে ‘কর্মপরিকল্পনা বা অ্যাকশন প্ল্যান’ হিসেবেই তারা তুলে ধরতে চান।

“ডকুমেন্টারি যে রোডম্যাপটা হয়, সেটা একটা হবেই ইনশাহআল্লাহ। প্রকাশনার মধ্যে থাকবে। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের খসড়া কিন্তু মোটামুটি করা। শুধু ডেট, টাইমটা…। শিডিউল ডিক্লারের আগে তো (প্রস্তুতিমূলক কাজ) সব করে ফেলতে হবে। জুলাই-অগাস্টে দিতেই হবে।

“৬০-৭০ দিন আগে অক্টোবরে তফসিলের পরিকল্পনা রয়েছে। ডিসেম্বরে যদি নির্বাচন করি, এটা আয়নার মত পরিষ্কার হয়ে আছে। যাতে আর কোনো কনফিউশন না থাকে, সেজন্য তো জুন-জুলাইয়ে (অ্যাকশন প্ল্যান প্রকাশ) করতে হবে।”

ভোটের পথে তফসিলের আগে-পরে যত কাজ

  • ভোটার তালিকা, আইন-বিধি-নীতিমালা সংস্কার, সংলাপ, সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস, নতুন দল নিবন্ধন।

  • চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ; তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সংসদীয় আসন অনুযায়ী ৩০০ এলাকার তালিকা প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ, তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ।

  • প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন।

  • প্রার্থীদের জন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত।

  • ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক কপি মুদ্রণ।

  • সম্পূরক ভোটার তালিকার সিডি রেজিস্ট্রেশন অফিসারকে সরবরাহ।

  • বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের জন্য হেল্পডেস্ক করতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ; নিয়মিত সংবাদ অবলোকন করে কমিশনকে জানাতে টিম গঠন; সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা; সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সভা পরিকল্পনা।

  • নির্বাচনে ব্যবহৃত সব ফরম, প্যাকেট মুদ্রণ সম্পন্ন। ব্যালট বাক্স, লকসহ নির্বাচন দ্রব্যাদির মজুদ পরীক্ষা করে জেলা নির্বাচন অফিসারদের জানানো।

  • মনোনয়নপত্র দাখিল সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক পর্যায়ের বিভিন্ন ফরম (ফরম-১, ফরম ২, ফরম-৩), প্যাকেটসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি মাঠ পর্যায়ে প্রেরণ। নির্বাচনী দ্রব্য- স্ট্যাম্প প্যাড, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, অফিসিয়াল সিল, গালা ইত্যাদি সংগ্রহ।

  • ভোটের জন্য আগে সব ব্যালট বাক্স পুনরায় যাচাই ও ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা।

  • ম্যানুয়েল মুদ্রণ শেষ করে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানো।

  • মাঠ পর্যায় থেকে ভোটকেন্দ্রের তালিকা কমিশনের অনুমোদনের জন্য নির্দেশনা (তফসিল ঘোষণার ৭ দিনের মধ্যে পাঠাতে হবে)।

  • বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়াল ও নির্দেশিকা মুদ্রণ; ভোটের ফল প্রদর্শন, প্রচার, ডিজিটাল মনিটর স্থাপন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন (ভোটের ১৫ দিন আগে)।

  • আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক, ঋণখেলাপিদের সংগ্রহ তথ্য সংগ্রহ, ভোটকেন্দ্র থেকে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ভোট গণনার বিবরণী, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি গঠনসহ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবনা তৈরি।

  • ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রাথমিক প্যানেল প্রস্তুতে নীতিমালা উপস্থাপন; প্যানেল প্রস্তুতে কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা সংগ্রহে নির্দেশনা; তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা প্যানেল চূড়ান্ত করবে।

  • উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শূন্যপদ পূরণে জনপ্রশাসনকে অনুরোধ; সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে এবং অফিস সময়ের পরে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা;

  • ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ অনুসারে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্ধারণ করে রিটার্নিং অফিসারে কাছে তথ্য সংগ্রহ; ভোটের ১৫ দিন আগে নিয়োগ চূড়ান্ত ও প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত নির্দেশনা।

  • আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক প্রস্তাব ও সভার পরিকল্পনা; বিভিন্ন বাহিনী মোতায়েন, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা পাঠানো সংক্রান্ত প্রস্তাব উপস্থাপন (তফসিল ঘোষণার পর কার্যক্রম গ্রহণ)।

  • প্রশিক্ষণ, প্রচার: ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা; আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি ও জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন; প্রশিক্ষণ।

  • দল ও দলীয় প্রধানদের প্রচার নিয়ে নীতিমালা জারি।

  • ফল সংগ্রহ ও পরিস্থিতি প্রতিবেদন।

ইসি যা বলছে

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে আইন-বিধি-নীতিমালা সংস্কারে আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে ইসির কাছে।

এ নিয়ে কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি হবে না বলেই মনে করছে ইসি।

আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “এটা কোনো সাংঘর্ষিক বিষয় নয়। ইসি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ভোট উপহার দেওয়া, ভালো নির্বাচনের জন্য ইসি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। কারো সাথে মুখোমুখি নয়, কারো সাথে সাংঘর্ষিক নয়; সবাই ইসিকে সহযোগিতা করবে, আশু সংশোধনযোগ্য বিষয়গুলো আমরাও সুপারিশ করব।”

তিনি বলছেন, “ডিসেম্বর ধরেই আমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে। জুনের মধ্যে ভোটার তালিকার কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে নতুন ও বাদ পড়া মিলিয়ে ৬২ লাখের মত ভোটার যুক্ত হবে তালিকায়; মৃত ভোটার বিদ্যমান তালিকা বাদ যাবে ২০ লাখের মত।

সাড়ে ১২ কোটির বেশি ভোটারের কথা বিবেচনায় নিয়ে ভোটকেন্দ্রসহ যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেন এই নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে। তফসিল ঘোষণার একমাস আগেই ১০-২০টা দল বা কোনো দল নিবন্ধন চাইলে দেওয়া সম্ভব হবে না। দলের নিবন্ধন গেজেট প্রকাশ তফসিল ঘোষণার আগেই শেষ করতে হবে। এ জন্য যাচাই বাছাই শেষে জুলাই-আগস্টের মধ্যে এটা শেষ করার পরিকল্পনা।”

নির্বাচনী আইন ও আরপিওর সঙ্গে সব বিধি ও নীতিমালা সম্পৃক্ত থাকবে। ‘যথাসময়ে’ সেসব করে গেজেট জারির কথাও বলেন আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

তিনি বলেন, আরপিও সংশোধানসহ অন্যান্য নির্বাচনী আইন সংশোধনের বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি হচ্ছে।

প্রবাসীদের ভোট নেয়ার জন্য ‘প্রক্সি ভোটের’ বিধানটি যুক্ত করতেও আরপিও সংশোধন করতে হবে। আচরণবিধির খসড়াও চূড়ান্ত হয়ে আছে। সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত সংশোধন প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হছে, নতুন করে সংশোধন করে না এলে আগের সীমানায় ভোট করতে হবে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে ‘সমন্বয়’ রেখে ইসি কিছু সংস্কার প্রস্তাব রেখেছে বলে জানান আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

তিনি বলেন, “নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বরকে টার্গেট ধরে এগোচ্ছি। এর আগে ৬০ স্ট্যান্ডার্ড টাইম ধরলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। বিশাল লোকবল, প্রশিক্ষণ, দল, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতামত নেওয়া; আইন শৃঙ্খলা, প্রশাসন, মন্ত্রণালয়ের মত বিনিময় অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে করতে হবে।”

বিরাজমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচনের জন্য ‘অনুকূল’ বলেই মনে করেন এ নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, “প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে, নিঃসন্দেহে তুলনামূলক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এ কয়মাসে যদি পরিস্থিতির ইমপ্রুভমেন্ট হয়ে যায় এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশা করি। “নির্বাচনের জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টটা, আইন শৃঙ্খলা ও স্থানীয় প্রশাসন; সবার বোধোদয় হয়ে নিরপেক্ষ ও আইন অনুযায়ী থাকতে হবে।” 

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

 

একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস

Shwapno
Link copied!