জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা এখন দৃশ্যমান। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে দেশে আর কখনো ফ্যাসিবাদী শাসনের ফিরে আসার সুযোগ না থাকে।”
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এনসিপি নেতাদের উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর পক্ষ থেকে যে সুপারিশগুলো এসেছে, সেখানে কিছু বিষয়ে এনসিপির পূর্ণ সমর্থন, আবার কিছু বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। “আমরা একমতের জায়গাগুলো চিহ্নিত করেছি এবং সেগুলোকে ভিত্তি করে সামনে এগোব। যেখানে মতভেদ রয়েছে, সেসব নিয়েও আলোচনা চলবে—প্রয়োজনে তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের লক্ষ্য, জাতির প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ তৈরি করা।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা (এনসিপি) ফ্যাসিবাদী শাসকের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়েছেন এবং তাঁকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছেন। শুধু বিজয়েই থেমে থাকেননি—আপনারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চান। আপনাদের এই প্রত্যয় মানুষের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে আরও দৃঢ় করেছে।”
আলী রীয়াজ বাংলাদেশের ইতিহাস প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা বারবার দেখেছি কীভাবে গণতন্ত্রের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়, কীভাবে একটি ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। আমাদের এখনকার দায়িত্ব—গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকসই করা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নিপীড়নের অবসান ঘটানো।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জাতীয় নাগরিক পার্টির ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা।
একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :