গরম বাড়ার সঙ্গে লোডশেডিংও বাড়বে—এমন শঙ্কা যখন মানুষের মনে, তখন স্বস্তির খবর দিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেছেন, এবারের গরমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। “আমাদের প্রজেকশন ১৮ হাজার মেগাওয়াট। আশা করছি, বড় কোনো বিপর্যয় ছাড়াই বিদ্যুৎ সরবরাহ ম্যানেজ করতে পারবো,” বলেন তিনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টারস বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা জানান উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, গ্রাম ও শহরের মধ্যে লোডশেডিংয়ে সমন্বয় রাখা হবে। জ্বালানি আমদানির বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে তিনি জানান, এলএনজি আমদানিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেলে এগোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“এটা স্বল্পমেয়াদি সরকার। সময় লাগবে—এটা মাথায় রেখেই আমরা বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নিচ্ছি। বকেয়া বিল পরিশোধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ব্যবসার জন্য সময়মতো বিল পরিশোধ জরুরি,” বলেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
আগামী দুই মাসের মধ্যে সিস্টেম লস ৫০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়ে তিনি জানান, লাইনে লিকেজ ঠিক করা হচ্ছে এবং গ্যাস চুরির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ব্যয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে।
ভবিষ্যতের দিক ইঙ্গিত করে উপদেষ্টা বলেন, “আগামী বছর আর বকেয়া থাকবে না, কেবল কারেন্ট পেমেন্ট করতে হবে। ফলে ভর্তুকি বাড়বে না, বরং কমবে। আমরা সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।”
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিডে কেউ অংশ নেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর দ্রুত রি-টেন্ডার করা হবে।”
একুশে সংবাদ// আ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :